বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০০৯

History of Munshiganj Bikrampur




দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন, একটি উদ্দীপনা, একটি সুপ্ত ভালোবাসা যাকে আমি ভালোবাসি তার কথা অন্যকে বলতে শুনাতে তাকে নিয়ে কবিতা লিখতে কিন্তু কি করব, তাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে, কিছু লিখতে গেলে তার কাছে যেতে হবে, তার সমন্ধে জানতে হবে তবেই না হয়ে উঠবে কিছু বলা কিছু লিখা। কার কথাই বা বলব মানুষ তো শুধু তিনজনই কেই ভালোবাসতে পারে এক জম্মদাতা, আর যার আশ্রয়ে জম্ম নেওয়া আর যাদের সাথে বড় হয়ে উঠা। আমি আমার আশ্রয় এর কথা বলছি আমার জম্ম ভুমি সোনার বাংলার বিক্রমপুরের কথা।

ভালো বাসি তোমাকে আমি বিক্রমপুর, তোমার দেওয়া ভালোবাসা-পচাপাটের গন্ধ, কৃষকের জমি ভড়া আলু, জমিদারদের জমিদারী উদ্দিপনা, গ্রাম্যবালক বালিকার শুভ্রপেম, শিশুকিশোরদরে মক্তবে ভোর বেলা ছুটে যাওয়া, ভোরের শিশির জড়ে পরার আগে খেজুরের রস আহরন করা, ছানা দধিওযার হাকানি, হাটবাজার সরগম, বুড়ো দাদীর হুক্কা হাকানীর শব্দ আর মিষ্টি পানের ঠোট লাল করে রসিকতা করা, বর কনের বিয়ের সরবরে দলবেধে পাড়া বধুদের গীত গাওয়া, পরন্ত বিকেলে কাচা মাটির পথ হয়ে নব বধুকে নিয়ে পালকীওলার গীত আর দুরন্ত ছেলের সাজের বেলা পড়ন্ত বিকেলের ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য, বষার অথৈই পানিতে এক ঝাক হার্সের সাতারঁ কাটা, মাথায় গামছা বেধে জেলের মাছ ধরা কোন স্মৃতিইযেন ভুলিতে পারিনা। তাই সুন্দর বিক্রমপুরকে জানার আশায় আমি হন্য ঘুরতে শুরু করলাম বিভিন্ন জ্ঞানীগুনিজনদের কাছে কিন্তু বিধিরাম কেহ আমায় তেমন করে কিছু বলতে বা দিতে পারলনা। সেই থেকে মনকে বুঝালাম বিক্রমপুরকে নিয়ে জানতে হলে এত কষ্ট করে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করে সবার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়, সেই চিন্তা থেকে মনে আসল বিক্রমপুরের বই সংগ্রহ করে একটি লাইব্রেরী করব। যদিও বিক্রমপুরের উপরের অনেক জায়গাতেই লাইবেরী ছিল কিন্তু ইচ্ছা করলেও পড়ারমত সুযোগ সুবিধা ছিল না।






সেই চিন্তা থেকেই আমি বিক্রমপুরের উপর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করলাম সবাই যাতে বিক্রমপুর সমন্ধে জানতে পারে সেই লক্ষে, -কিন্তু সেটা কিকরে সম্ভব আমার পক্ষে তখন এতবড় একটা বিষয় নিয়ে বই ছাপানো বা বিক্রমপুরের ইতিহাস এতই বিস্তৃত যে, একটা বইতে তা ছাপিয়ে বিক্রমপুরের পূর্ণতা আনা যায় না। তাই এই চিন্তায় আমি অস্থির হয়ে উঠলাম- আমি তখন পড়াশোনা করছি মাত্র হাই স্কুলে কিন্তু তখন আমি কম্পিউটার নিয়ে টুকটাক চিন্তা করি এবং ১৯৯০ সালে আমি কম্পিউটারের উপড়ে কিছু এপ্লিকেশন কোর্স সম্পন্ন করে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করি। যখন আমি মাল্টিমিডিযার উপর পড়াশোনা করি তখনই আমি ধারণা লাভ করি যেকোন তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য এখন শুধু কাগজই এক মাত্র মাধ্যম নয় আরও মাধ্যম আছে সেটা হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া সেই থেকে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দাড়েঁতে শুরু করল ততক্ষনে আমি মাল্টিমিডিয়ার উপরে পড়াশোনা শেষ করে কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পড়াশোনা শুরু করেছি। এখানে বলে রাখা ভালো আমার ছাত্রজীবন বয়স থেকেই আমি কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ দিতাম।


যখনই আমি বিক্রমপুর নিয়ে ওয়েব সাইট করার চিন্তা করলাম সেইলাম ঠিক সেই মূহুতেই আমি পাশাপাশি কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সিটিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বই সংগ্রহ করি আর নিজেই বিক্রমপুরের উপরে ফটোগ্রাফি করি আর কম্পিউটারে সেগুলি সংরক্ষণ করি । সেই দীর্ঘ আট দশ বছরের সাধনার পর আমি প্রায় ১৫/২০টি বই সরাসরা কম্পিটারের সংরক্ষন করে আপনাদের জন্য একটি বিক্রমপুরের উপর ওয়েব সাইট প্রকাশ করি আপনাদের বিক্রমপুর সমন্ধে জানার সুবিধার্থে, এজন্য অবশ্য আমি যারা আমাকে বিভিন্ন বই এর সন্ধান দিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে আর আমি এই ৫০০/১০০০ পৃষ্ঠার বই কম্পিউটারের টাইপ করে সংরক্ষন করেছি।




এই ওয়েভ সাইটটি নিয়ে আমি এখনো কাজ করছি কিভাবে এটিকে একটি ডাইনামিক ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা যায়। অবশ্য পুর্ণাংগভাবে তৈরির শেষ পযায়।








আমাদের বিক্রমপুরের ডিমো সাইট : http://www.bikrumpur.com/








ইঞ্জিনিয়ার আকাশ


পরিচালক


আকাশস্ বর্ণমালা কম্পিউটার ইনিষ্টিটিউট,


সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশ।


আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট: http://www.akashsbarnamala.com/








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন